পোস্টার প্রেজেন্টেশান প্রদর্শনী- ডি আই ইউ
প্রেজেন্টেশান, তাও আবার পোস্টারে করে। কি অবাক লাগছে! এমনটাই ভাবনা হবার কথা সকলের। ডিজিটাল যুগে আবার সেই পুরনো দিনের পদ্ধতি। শুনতেই কেমন কেমন লাগছে!
ছবি ও লেখায়ঃ মো. মনিরুল ইসলাম
যেমন-ই ভাবুন না কেনো, এবার সত্যি সত্যি ই পোস্টার প্রেজেন্টেশান প্রদর্শনী হলো ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশাল ইউনিভার্সিটিতে। অন্যান্য সকল প্রদর্শনীর মত এই প্রদর্শনীতে ছিলো সকল প্রকার আয়োজন। কোন কিছুর কমতিও ছিলো না।
এ প্রদর্শনীতে অংশ নেন উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের বায়োইনফরমেটিক্স বিষয়ে অধ্যয়নরত প্রায় দুই শতাদিক ছাত্র-ছাত্রী । উক্ত প্রদর্শনীটি প্রদর্শন করেন বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ আকতার হোসাইন সহ আরো অনেক শিক্ষক মহোদয়গণ।
![]() |
শিক্ষাত্রীদের একাংশ |
এই প্রদর্শনীর আয়োজনকারী উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও বর্তমানে কর্মরত শিক্ষক জনাব অমিত চক্রবর্তি ছোটন। ছাত্র জীবনে যেমনি ছিলেন তিনি প্রচন্ড বাস্তবমুখী ও নিখুত চিন্তাবিধ। কর্ম জীবনেও তার থেকে কম নেই। এখন যেন তার নেশা আরো বেড়ে গেছে। পূর্বে শুধু নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতেন। আর এখন চিন্তা করেন অনেকের জন্য। তারই ধারাবাহিকতায়, ছাত্রদের দিয়ে করালেন পোস্টার প্রেজেন্টেশান।
যেখানে কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে প্রেজেন্টেশান প্রদর্শনীর পদ্ধিতি প্রচলিত, সেখানে কেনো এই পুরনো কায়দায় পোস্টার প্রেজেন্টেশান?
এ বিষয়ে তিনি যা ব্যাখা করলেন, তাও এক কঠিনতম চিন্তার ফলাফল। মূলত এই পোস্টার প্রেজেন্টেশান শুধু মাত্র একটি প্রেজেন্টেশান প্রদর্শনী না। এর মধ্যে সর্বপ্রথম যা রয়েছে তা হলো নিজে কিছু করা। আর বিশেষ করে বায়োইনফরমেটিক্স এর মত বিষয়ে ইন্টারনেট থেকে স্লাইড ডাউনলোড করে কিছু প্রেজেন্ট করার চেয়ে পোস্টার এর মাধ্যমে নিজে কিছু জেনে তা প্রদর্শন করা অনেক ভালো বলে তিনি উল্লেখ করেন। আরেকটি লক্ষনীয় বিষয় এই যে, এ ধরনের কাজে গ্রুপ মেম্বারদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক ঘরে উঠে। যার ফলে অনেকের চিন্তা শক্তিকে এক করে যেকোনো কঠিন কিছুই সমাধান করা সম্ভব বলে মনে করেন তরুন এই শিক্ষক।
উক্ত প্রদর্শনীতে আরো উল্লেখযোগ্য তথ্য হলো এই যে, প্রদর্শন শেষে বিভাগীয় প্রধান সকলের উদ্দ্যেশে কিছু বলেন ও প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করার সাথে সাথে প্রদর্শনীর এসব পোস্টার প্রেজেন্টেশানকে ডিজিটালাইজড ভার্সনে রুপান্তরের কথা উল্লেখ করে আরো বলেন আগামীতে এসব বিষয়ের উপর বানানো অ্যাপস থেকে সেরা দশটি অ্যাপস বাছাই করা হবে।
ছবি ও লেখায়ঃ মো. মনিরুল ইসলাম
No comments