স্ত্রীর প্রতি স্বামীর সু-নজর কেনো দরকার?
মহিলা ৯১১ কল রেখে নিজের স্বামীকে ফোন দিলেন। স্ত্রীর ফোন রিসিভ করে শোনেন তিনি বলছেন, "তোমাকে এখুনি বাড়ি ফিরে আসতে হবে। এখুনি।" ভদ্রলোক কোন কথাবাড়ালেন না। বুঝলেন কোন একটা সমস্যা হয়েছে। তিনি বাড়ির দিকে রওনাহলেন।
বাড়ি এসে দেখেন তাঁরপুরো বাড়ি পুলিশ, মেডিক্যাল ডাক্তার এবং সরকারী লোকজনে গিজগিজ করছে। পুলিশজানালো তাঁরস্ত্রী তাঁর পাঁচসন্তানকে মেরে ফেলেছে!!
ভদ্রলোক শোকের ধাক্কা সামলাতে সামলাতেই দেখেন তাঁরস্ত্রীকে হাতকড়া পরিয়ে পুলিশবাড়ি থেকে বের করে এনে গাড়িতে উঠাচ্ছে। মহিলার চেহারায় কোন অভিব্যক্তি নেই। তিনি হাউমাউ কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন।
পুরো অ্যামেরিকা ফুঁসে উঠলো। তাঁরা সবাই পাঁচসন্তান হত্যাকারী মায়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চায়।পুলিশঅফিসার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন।
"প্রথমে আমারমনে হয়েছিল মেঝেতে পুতুল পড়ে আছে। গায়ে হাতদিয়ে দেখি এটামানব শিশু! নিথর! নিষ্পলক আমারদিকেই যেন তাকিয়ে আছে। তারপর আসামী আমাকে দেখালো আরও চারজনবিছানায় শুয়ে আছে। একটাতিনবছরের ছেলের কোলে ছয়মাস বয়সী একটিবাচ্চামেয়েকে দেখলাম। সবাই মৃত। আমারক্যারিয়ারে এত কঠিন সময় আমাকে কখনই দেখতে হয়নি।"
অদ্ভূত শোনালেও সত্য, মহিলার পাশে এসে দাঁড়ালেন তাঁর স্বামী।তিনি বারবার মিডিয়াকে এবং আদালতকে বলতে থাকলেন,
"আমারস্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ। সে তাঁর সন্তানদের অত্যন্ত ভালবাসতো। তাঁরমতন মা হয় না। সে একজন চমৎকার স্ত্রী। সে সুস্থ মাথায় এই হত্যাকান্ড কিছুতেই করতে পারেনা।"
মিডিয়া তার স্বভাবমতনরসিয়ে রসিয়ে ঘটনাটাকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলো এমনভাবে যে আসলে ভদ্রলোক নিজেই খুনি। নাহলে পাঁচসন্তান হারাবার পর একজনবাবা কিভাবে মিডিয়ার সামনে হাসিমুখে কথাবলতে পারেন? কেন তিনি নিজের খুনিস্ত্রীকে বাঁচাবার চেষ্টা করছেন? কেন? কেন?? কেন???
সত্য ঘটনাহচ্ছে আন্দ্রিয়া ইয়েটস আসলেই একজনমানসিক রোগী ছিলেন। সাইকোলজিতে একে পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বলে। শিশু জন্মের পরে প্রায় সব মায়েরই এমনটা হয়ে থাকে। অত্যন্ত স্বাভাবিক একটিঘটনা।শরীরে ম্যাসিভ হরমোনাল চেঞ্জের জন্য এমনটাঘটে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ লোকই যা জানেনা।
এই সময়ে মায়েরা স্বামীদের খুন করে ফেলতে চায়,অথবা আত্মহত্যা করতে চায়। অথবা এমন কিছু করতে চায়যাসুস্থ মাথার মানুষ কল্পনাও করতে পারেনা। বিদেশে এই রোগের ভালচিকিৎসা আছে। এরা সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যায়,কাউন্সেলিং করে, ওষুধ খায়- সুস্থ্যও হয়ে যায়।
আমাদের দেশে প্রথমেই মেয়েকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। শ্বাশুড়ি ননদরা মুখ বাঁকিয়ে বলবেন, "আমরাআর মাহই নাই।সবই ঢং আর ফুটানি!" মেয়ের মাও বোন বলবেন, "মানিয়ে নে মা.....মানিয়ে নে।" স্বামিতো কিছুইশুনতে চাইবে না,বুঝাতো বহুদূর। "দ্যাখো, নানান টেনশনে এমনিতেই আমার মাথা গরম থাকে। তোমার এইসব ফালতুঢং শুনতে ইচ্ছা করছে না।"
গৃহিনী আন্দ্রিয়া ইয়েটসের তৃতীয় সন্তান জন্মের পর থেকেই তাঁর মানসিক ভারসাম্যনষ্ট হয়ে যেতে থাকে। তিনি পাগলের মতই সন্তানদের ভালবাসতেন। কিন্তু একই সাথে তাঁর পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন তাঁকে খেয়ে ফেলছিল। নিজের সন্তানদের যাতে ক্ষতি না করতে পারেন, সেজন্য তিনি আত্মহত্যা করতে চাইলেন দুইবার- দুইবারইতিনি ব্যর্থ হলেন। ডাক্তার তাঁকে এন্টি ডিপ্রেশন ওষুধ দিলেন। তিনি কিছুদিন খেলেন। তারপরসুস্থ হয়ে গেছেন ভাবে খাওয়া বন্ধকরে
দিলেন। স্বামী ভাবলেন আরেকটা সন্তান আসলে
হয়তো স্ত্রী সুস্থ হয়ে উঠবেন।
উল্টোটা ঘটলো। চারসন্তাদের পর অবস্থা আরও বাজে হলো। এরমধ্যে ডিপ্রেশনের ওষুধ
মাঝপথে বন্ধ করে আবারশুরু করায় ব্রেনও এলোমেলো হয়ে গেল। পঞ্চম সন্তানের জন্ম পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুললো।
ডাক্তারের কাউন্সেলিং, হাইডোজের ওষুধ বা পরিবারের সাহচার্জ্য, কিছুইকাজে এলো না। তিনি একে একে পাঁচটা বাচ্চাকেই বাথটাবের পানিতে চুবিয়ে মারলেন।
ছোট চারবাচ্চাকিছুই বুঝেনি, তারা চুপচাপ মরে গেছে। বড় ছেলেটা ভেবেছিল মা হয়তো তাঁকে কোন দুষ্টামির জন্য শাস্তি দিচ্ছেন। বাথটাবের পানিতে চুবানি খেতে খেতে সে কাঁদতে কাঁদতে বলছিল,"I'll be good. I'll be good."
বাঙালি বাচ্চা হলে যে বলতো, "আমিআর
করবো নামা,আর করবো না।"মাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় কাজগুলো তুমিকেন করলে? তিনি বলেন, "আমারএক ছেলে বড় হয়ে সিরিয়াল কিলার হতো, আরেকটা ড্রাগ অ্যাডিক্ট। আর মেয়ে হতো বেশ্যা।"
"তোমাকে এই কথাকে বলেছে?"
"শয়তান।"
"শয়তানতোমাকে নিজে বলেছে?"
"হু।"
রাস্টি ইয়েটস ট্রায়ালের শেষ দিনপর্যন্ত স্ত্রীর পক্ষে ছিলেন। অ্যামেরিকান আদালত আন্দ্রিয়াকে সন্তান হত্যার দায়থেকে মুক্ত ঘোষণা করলো। তবে তাঁকে মানসিক রোগের চিকিৎসার নির্দেশ দিল।মহিলা এখনও মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হয়তো আজীবন তাই
থাকবেন।
রাস্টিরসাথে তাঁরছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। রাস্টি আবারবিয়ে করে এখন নতুনভাবে জীবন শুরু করেছে। তাঁরনতুন সংসারে এখন একটিশিশু। তবে এখনও সে প্রায়ই আন্দ্রিয়ার খোঁজ নিতে
হাসপাতালে যায়।
হিউস্টনের একটিকবরস্থানে বিরাট একটা ফলকে লেখা আছে "ইয়েটস," এবং তার নিচেই নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে পাঁচ ভাইবোন।
হিউস্টনের ঘটনাটা কীআমাদের দেশে ঘটেনা? প্রায়ই দেখা যাচ্ছে মায়ের হাতে সন্তান খুন। স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন। প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে
নবজাতকের মা।কিংবা, মায়ের আত্মহত্যা। আমরা তখন কীকরি?কথাছাড়া মেয়ের দোষ দিয়ে হাতধুয়ে ফেলি।
এই এক ঘটনারপর পুরো অ্যামেরিকা নড়েচড়ে বসেছিল। পোস্টপার্টেম ডিপ্রেশনকে এরাহাইয়েস্ট প্রায়োরিটি দিয়ে চিকিৎসা করে। এরাশিক্ষিত জাতি। এরাবুঝে যে মানসিক রোগ মানেই পাগল নয়। সাইকিয়াট্রিস্ট দেখানো মানেই উন্মাদ নয়। পাগলহলেই কেবল কাউন্সেলিং করতে হয়না। বরং রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করানোই বুদ্ধিমানের কাজ।
________সংগৃহীত______
কদিনধরেই দুসন্তান হত্যার ঘটনানিয়ে পুরো ফেসবুক উত্তাল। মহিলার সম্পূর্ণ জবানবন্দিতে যতটুকু পড়লাম,জানলাম এবং বুঝলামসেটা হল তিনিও পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন ২০০১ সালের এই ঘটনারমত । কেননা একজন মা কখনই এবং কখনই সুস্থ মস্তিষ্কে সন্তানদের ঘাতকহতে পারে না!
তাইঅহেতুক পরকীয়ার অপবাদ নাচাপিয়ে সবাইকে এ রোগটির ব্যাপারে সচেতন করুন....
বাড়ি এসে দেখেন তাঁরপুরো বাড়ি পুলিশ, মেডিক্যাল ডাক্তার এবং সরকারী লোকজনে গিজগিজ করছে। পুলিশজানালো তাঁরস্ত্রী তাঁর পাঁচসন্তানকে মেরে ফেলেছে!!
ভদ্রলোক শোকের ধাক্কা সামলাতে সামলাতেই দেখেন তাঁরস্ত্রীকে হাতকড়া পরিয়ে পুলিশবাড়ি থেকে বের করে এনে গাড়িতে উঠাচ্ছে। মহিলার চেহারায় কোন অভিব্যক্তি নেই। তিনি হাউমাউ কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন।
পুরো অ্যামেরিকা ফুঁসে উঠলো। তাঁরা সবাই পাঁচসন্তান হত্যাকারী মায়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চায়।পুলিশঅফিসার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে কেঁদে ফেললেন।
"প্রথমে আমারমনে হয়েছিল মেঝেতে পুতুল পড়ে আছে। গায়ে হাতদিয়ে দেখি এটামানব শিশু! নিথর! নিষ্পলক আমারদিকেই যেন তাকিয়ে আছে। তারপর আসামী আমাকে দেখালো আরও চারজনবিছানায় শুয়ে আছে। একটাতিনবছরের ছেলের কোলে ছয়মাস বয়সী একটিবাচ্চামেয়েকে দেখলাম। সবাই মৃত। আমারক্যারিয়ারে এত কঠিন সময় আমাকে কখনই দেখতে হয়নি।"
অদ্ভূত শোনালেও সত্য, মহিলার পাশে এসে দাঁড়ালেন তাঁর স্বামী।তিনি বারবার মিডিয়াকে এবং আদালতকে বলতে থাকলেন,
"আমারস্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ। সে তাঁর সন্তানদের অত্যন্ত ভালবাসতো। তাঁরমতন মা হয় না। সে একজন চমৎকার স্ত্রী। সে সুস্থ মাথায় এই হত্যাকান্ড কিছুতেই করতে পারেনা।"
মিডিয়া তার স্বভাবমতনরসিয়ে রসিয়ে ঘটনাটাকে উপস্থাপন করার চেষ্টা করলো এমনভাবে যে আসলে ভদ্রলোক নিজেই খুনি। নাহলে পাঁচসন্তান হারাবার পর একজনবাবা কিভাবে মিডিয়ার সামনে হাসিমুখে কথাবলতে পারেন? কেন তিনি নিজের খুনিস্ত্রীকে বাঁচাবার চেষ্টা করছেন? কেন? কেন?? কেন???
সত্য ঘটনাহচ্ছে আন্দ্রিয়া ইয়েটস আসলেই একজনমানসিক রোগী ছিলেন। সাইকোলজিতে একে পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বলে। শিশু জন্মের পরে প্রায় সব মায়েরই এমনটা হয়ে থাকে। অত্যন্ত স্বাভাবিক একটিঘটনা।শরীরে ম্যাসিভ হরমোনাল চেঞ্জের জন্য এমনটাঘটে। আমাদের দেশের বেশিরভাগ লোকই যা জানেনা।
এই সময়ে মায়েরা স্বামীদের খুন করে ফেলতে চায়,অথবা আত্মহত্যা করতে চায়। অথবা এমন কিছু করতে চায়যাসুস্থ মাথার মানুষ কল্পনাও করতে পারেনা। বিদেশে এই রোগের ভালচিকিৎসা আছে। এরা সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যায়,কাউন্সেলিং করে, ওষুধ খায়- সুস্থ্যও হয়ে যায়।
আমাদের দেশে প্রথমেই মেয়েকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। শ্বাশুড়ি ননদরা মুখ বাঁকিয়ে বলবেন, "আমরাআর মাহই নাই।সবই ঢং আর ফুটানি!" মেয়ের মাও বোন বলবেন, "মানিয়ে নে মা.....মানিয়ে নে।" স্বামিতো কিছুইশুনতে চাইবে না,বুঝাতো বহুদূর। "দ্যাখো, নানান টেনশনে এমনিতেই আমার মাথা গরম থাকে। তোমার এইসব ফালতুঢং শুনতে ইচ্ছা করছে না।"
গৃহিনী আন্দ্রিয়া ইয়েটসের তৃতীয় সন্তান জন্মের পর থেকেই তাঁর মানসিক ভারসাম্যনষ্ট হয়ে যেতে থাকে। তিনি পাগলের মতই সন্তানদের ভালবাসতেন। কিন্তু একই সাথে তাঁর পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন তাঁকে খেয়ে ফেলছিল। নিজের সন্তানদের যাতে ক্ষতি না করতে পারেন, সেজন্য তিনি আত্মহত্যা করতে চাইলেন দুইবার- দুইবারইতিনি ব্যর্থ হলেন। ডাক্তার তাঁকে এন্টি ডিপ্রেশন ওষুধ দিলেন। তিনি কিছুদিন খেলেন। তারপরসুস্থ হয়ে গেছেন ভাবে খাওয়া বন্ধকরে
দিলেন। স্বামী ভাবলেন আরেকটা সন্তান আসলে
হয়তো স্ত্রী সুস্থ হয়ে উঠবেন।
উল্টোটা ঘটলো। চারসন্তাদের পর অবস্থা আরও বাজে হলো। এরমধ্যে ডিপ্রেশনের ওষুধ
মাঝপথে বন্ধ করে আবারশুরু করায় ব্রেনও এলোমেলো হয়ে গেল। পঞ্চম সন্তানের জন্ম পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুললো।
ডাক্তারের কাউন্সেলিং, হাইডোজের ওষুধ বা পরিবারের সাহচার্জ্য, কিছুইকাজে এলো না। তিনি একে একে পাঁচটা বাচ্চাকেই বাথটাবের পানিতে চুবিয়ে মারলেন।
ছোট চারবাচ্চাকিছুই বুঝেনি, তারা চুপচাপ মরে গেছে। বড় ছেলেটা ভেবেছিল মা হয়তো তাঁকে কোন দুষ্টামির জন্য শাস্তি দিচ্ছেন। বাথটাবের পানিতে চুবানি খেতে খেতে সে কাঁদতে কাঁদতে বলছিল,"I'll be good. I'll be good."
বাঙালি বাচ্চা হলে যে বলতো, "আমিআর
করবো নামা,আর করবো না।"মাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় কাজগুলো তুমিকেন করলে? তিনি বলেন, "আমারএক ছেলে বড় হয়ে সিরিয়াল কিলার হতো, আরেকটা ড্রাগ অ্যাডিক্ট। আর মেয়ে হতো বেশ্যা।"
"তোমাকে এই কথাকে বলেছে?"
"শয়তান।"
"শয়তানতোমাকে নিজে বলেছে?"
"হু।"
রাস্টি ইয়েটস ট্রায়ালের শেষ দিনপর্যন্ত স্ত্রীর পক্ষে ছিলেন। অ্যামেরিকান আদালত আন্দ্রিয়াকে সন্তান হত্যার দায়থেকে মুক্ত ঘোষণা করলো। তবে তাঁকে মানসিক রোগের চিকিৎসার নির্দেশ দিল।মহিলা এখনও মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হয়তো আজীবন তাই
থাকবেন।
রাস্টিরসাথে তাঁরছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। রাস্টি আবারবিয়ে করে এখন নতুনভাবে জীবন শুরু করেছে। তাঁরনতুন সংসারে এখন একটিশিশু। তবে এখনও সে প্রায়ই আন্দ্রিয়ার খোঁজ নিতে
হাসপাতালে যায়।
হিউস্টনের একটিকবরস্থানে বিরাট একটা ফলকে লেখা আছে "ইয়েটস," এবং তার নিচেই নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে পাঁচ ভাইবোন।
হিউস্টনের ঘটনাটা কীআমাদের দেশে ঘটেনা? প্রায়ই দেখা যাচ্ছে মায়ের হাতে সন্তান খুন। স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন। প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে
নবজাতকের মা।কিংবা, মায়ের আত্মহত্যা। আমরা তখন কীকরি?কথাছাড়া মেয়ের দোষ দিয়ে হাতধুয়ে ফেলি।
এই এক ঘটনারপর পুরো অ্যামেরিকা নড়েচড়ে বসেছিল। পোস্টপার্টেম ডিপ্রেশনকে এরাহাইয়েস্ট প্রায়োরিটি দিয়ে চিকিৎসা করে। এরাশিক্ষিত জাতি। এরাবুঝে যে মানসিক রোগ মানেই পাগল নয়। সাইকিয়াট্রিস্ট দেখানো মানেই উন্মাদ নয়। পাগলহলেই কেবল কাউন্সেলিং করতে হয়না। বরং রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করানোই বুদ্ধিমানের কাজ।
________সংগৃহীত______
কদিনধরেই দুসন্তান হত্যার ঘটনানিয়ে পুরো ফেসবুক উত্তাল। মহিলার সম্পূর্ণ জবানবন্দিতে যতটুকু পড়লাম,জানলাম এবং বুঝলামসেটা হল তিনিও পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন ২০০১ সালের এই ঘটনারমত । কেননা একজন মা কখনই এবং কখনই সুস্থ মস্তিষ্কে সন্তানদের ঘাতকহতে পারে না!
তাইঅহেতুক পরকীয়ার অপবাদ নাচাপিয়ে সবাইকে এ রোগটির ব্যাপারে সচেতন করুন....
No comments